ভারতে আকারমাত্রিক স্বরলিপি উদ্ভাবন করেন দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং পরবর্তীকালে তাঁর অনুজ জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর সেই পদ্ধতির উন্নয়ন করেন। এই পদ্ধতির স্বরলিপিতে আ-কার (া)-এর মত চিহ্ন ব্যবহার করে তালের মাত্রা চিহ্নিত করা হয় এবং এ কারণেই এই পদ্ধতির নাম আকারমাত্রিক। এই পদ্ধতিতে সাতটি শুদ্ধ স্বর এবং পাঁচটি বিকৃত স্বর মিলিয়ে মোট বারোটি স্বর লিখিত হয় আ-কার সহযোগে। স্বরগুলি লিখিত হয় এইভাবে, সা (ষড়্জ), ঋা (কোমল ঋষভ), রা (শুদ্ধ ঋষভ), জ্ঞা (কোমল গান্ধার), গা (শুদ্ধ গান্ধার), মা (শুদ্ধ মধ্যম), হ্মা (তীব্র বা কড়ি মধ্যম), পা (পঞ্চম), দা (কোমল ধৈবত), ধা (শুদ্ধ ধৈবত), ণা (কোমল নিষাদ), না (শুদ্ধ নিষাদ)। মন্দ্র সপ্তক বা উদারার স্বর চিহ্নিত করতে স্বরের নীচে হসন্ত (্)-এর মত চিহ্ন ব্যবহৃত হয় এবং তার সপ্তক বা তারার স্বর চিহ্নিত করতে স্বরের উপরে রেফ ( র্ )-এর মত চিহ্ন ব্যবহৃত হয়। তিনটি সপ্তকে পৃথক ভাবে লিখিত ১২টি স্বর নীচে দেওয়া হল:
মন্দ্র সপ্তক (উদারা) | সা্ | ঋা্ | রা্ | জ্ঞা্ | গা্ | মা্ | হ্মা্ | পা্ | দা্ | ধা্ | ণা্ | না্ |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মধ্য সপ্তক (মুদারা) | সা | ঋা | রা | জ্ঞা | গা | মা | হ্মা | পা | দা | ধা | ণা | না |
তার সপ্তক (তারা) | র্সা | র্ঋা | র্রা | র্জ্ঞা | র্গা | র্মা | র্হ্মা | র্পা | র্দা | র্ধা | র্ণা | র্না |